রহস্যময় ভূতুড়ে বাগান | ভয়ের দেশ | সন্দীপ মণ্ডল| Bengali Horror Story
0 (0)

Getting your Trinity Audio player ready...

অস্তগামী লাল সূর্যের কিরণ ধীরে ধীরে যেন পৃথিবী থেকে সরে গিয়ে অদৃশ্য হতে থাকে, আর এদিকে বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা নামতে থাকে। বরুণ গতকাল শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে, আর আসতে তো হবেই তার ছোটো বেলার বন্ধু রাহুলের বিয়ে বলে কথা। চার বছর আগে শহরের এক অফিসে চাকরি পেয়ে সে শহরে চলে যায় এবং সেখানেই ঘর ভাঁড়া নিয়ে থেকে যায়। প্রায় চার বছর পর গ্রামে ফিরেছে। রাহুল দুই মাস আগে থেকেই বরুণকে জানিয়ে রেখেছিল যে তার বিয়ে।

কাল বিয়ে আজকেই যেতে হবে রাহুলের বাড়ি, বিকেলে রওনা দিবে। তাই গতকাল শহর থেকে এসেছে। বাড়িতে নানা কাজের কারণে বরুণের বেরোতে দেরি হয়ে গেল। তাই আর দেরি না করে সন্ধ্যা যেই ঘনিয়ে আসছে অমনি বরুণ বেরিয়ে পড়ল। রাস্তাটা অনেক প্রায় চার ঘণ্টার রাস্তা। , তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু গ্রাম বাংলা তো সকলেই নিজের নিজের বাড়িতে, ভুল করেও কেউ বাইরে বেরোয় না খুব জরুরী না হলে। কিন্তু বরুণ সাহসী মানুষ এবং মন দুর্বলও নয়। গ্রামের মানুষের আজগুবি গল্প ও ভূত প্রেতাত্মা তে বিশ্বাস করে না বললেই চলে। তবুও রাহুল আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিল-

“রাস্তা ভালো না বরুণ, বিকেল তিনটা বাজলেই বেরিয়ে পড়বি”

আর সত্যিই রাস্তাটা খুবই ভয়ানক, শিউলিতলা গ্রামটা আর ওই গ্রাম পেরিয়ে সর্দার বাগান যা এখন ভূতুড়ে বাগান নামে পরিচিত। ভূতুড়ে বাগানের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি চলে গেছে সেই রাস্তা দিয়ে দিনের বেলায় পেরিয়ে যেতেও ভয় পায়। আর বরুণকে সেই রাস্তা দিয়েই রাত্রি বেলায় আসতে হবে। তাই রাহুল ভয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে।

“তুই বেশি চিন্তা করিস না, আমি ঠিক পৌঁছে যাবো।”

“না-রে চিন্তা না, ভয় করছে এই কাল সন্ধ্যায় বেরোনোটা কি ঠিক হবে?”

“দূর বোকা! বাচ্চা ছেলের মতো এতো ভয় কেন তোর, তুই নিশ্চিন্তে থাক দেখবি আমি পৌঁছে যাবো।”

বরুণ তার বাবার পুরোনো একটি চার চাকার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু সে জানতোই না যে রাহুল কোন বাগানের কথা বলছিল। কারণ এই রাস্তায় এই প্রথম যাবে।

সর্দার বাগান! যা এখন ভূতুড়ে বাগান নামেই বেশি পরিচিত। এই বাগানে মধ্যে যে বাড়িটি আছে, সেখানে প্রায় কুঁড়ি বছর আগে এক সর্দার থাকতো এবং বাড়ির সামনে এক সুন্দর বাগান, বাগানে নানা ধরনের গাছ আর সেই গাছেদের মধ্যে একটি বটগাছও ছিল। হঠাৎ একদিন সকালে খবর পাওয়া যায়, সর্দার গলায় দড়ি দিয়েছে গতকাল রাতে। সর্দারের পরিবার না থাকায় সেখানকার গ্রামের মানুষ সৎকারের সব কাজ চুকিয়ে বাড়িতে পুরোপুরি তালা মেরে দেয়। কিন্তু সর্দার কেন গলায় দড়ি দিয়েছিল তা কেউ সঠিক ভাবে জানতে পারেননি, অনেকেই আবার বলে সর্দারকে ভুতে পেয়েছিল। আজও ওই ঘর থেকে শোনা যায় “আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও ওরা আমায় মেরে ফেললো।”

বরুণ বেরিয়ে পড়েছে বন্ধুর বাড়ির দিকে সাথে শুধু একটা ব্যাগ, যায় মধ্যে তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আর জলের বোতল, হাতে পুরাতন একটি ফোন। রাস্তা একেবারে ফাঁকা, শুধু মাঝে মাঝে এক-দুটো ছোট্ট মোড় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু রাত্রি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই মোড় গুলির জমাট বাঁধা ভিড় ধীরে ধীরে কমতে চলছে। ময়নাপুর পেরিয়ে গাড়ি শ্যামনগরে প্রবেশ করতে চলেছে, ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত্রি ৮ টা বেজে ৩৫ মিনিট। পথের ধারে ঘন অন্ধকার, দূর দূর পর্যন্ত নির্জন রাস্তা কোথাও কোনো কোলাহল নেই। শুধু গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দটুকু কানে ভেসে আসছে।

“গ্রামের মানুষজন কি সন্ধ্যা থেকেই ঘুমিয়ে দেয় না কি”

বরুণ নিজেই বিড়বিড় করতে থাকে, আর মুচকি মুচকি হাঁসে।

এবার শ্যামনগর পেরিয়ে শিউলিতলার রাস্তা ধরে গাড়ি এগিয়ে যেতে থাকে। শ্যামনগর থাকে শিউলিতলা গ্রাম খুব একটা দূর নয়। তাই কম সময়ের মধ্যেই শিউলিতলা গ্রামে গাড়ি প্রবেশ করতে চলেছে, হটাৎ বরুণের রক্ত ছলকে উঠে, গ্রামে যেই প্রবেশ করবে অমনি কিছু মহিলার গান গাইছে মনে হচ্ছিল, গাড়ির শব্দ শুনতে পাওয়া মাত্রই সবকিছু স্তব্ধ হয়ে যায়। বরুণ কাউকে কোথাও দেখতেও পায়না। এগিয়ে চলে গাড়ি নিয়ে, যেই শিউলিতলা গ্রাম পেরিয়ে সর্দার বাগান পেরোবে তেমনি গাড়ির ইঞ্জিন স্তব্ধ হয়ে চারিপাশে অন্ধকার নেমে আসে। তখন ঘড়ির কাঁটায় প্রায় ৯ টা বেজে ২৭ মিনিট। বরুণের মাথায় কোনো উপায় বেরিয়ে আসছে না, আর এই রাস্তাটাও তার ঠিক জানা নেই। কোন জায়গায় কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে সেটাও অন্ধকারে বুঝতে পারছে না। বার বার চেষ্টা করছে গাড়ি স্টার্ট করার। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি, কোনো ভাবেই আর স্টার্ট হয়নি গাড়ি। অবশেষে ফোনের আলো জ্বেলে চারপাশটা দেখতে থাকে। অমনি দূরে এক ল্যাম্প পোষ্টের আলো দেখতে পায়।

“যাক অবশেষে কোথাও তো আলোর সন্ধান পাওয়া গেল, গিয়ে দেখি সেখানে কাউকে পাওয়া যায় তো “রওনা দিলো সেই অদ্ভুত ভূতুড়ে বাগানের দিকে, সেখানে অলৌকিক সব কিছুই।

রাস্তার ধারে বড়ো দরজার দু-পাশে দুটি লম্বা ল্যাম্পপোস্ট দ্বীপ দ্বীপ করে জ্বলছে। আবার দরজাটাও হালকা খোলা।

“এখানে কেউ আছেন….? আমি খুব বিপদে পড়েছি, শুনতে পাচ্ছেন…”

চারিদিকে অন্ধকার ডান পাশে এক মস্ত বড়ো বট গাছ, যার শিকড় পেঁচিয়ে মাটি ভেদ করেছে। সামনেই একটা ছোট্ট জলাশয়, যাতে জলের চেয়ে লতাপাতাই বেশি। শুধু বটগাছের তলায় সিমেন্টের তৈরি চেয়ারের মতো যেন কিছু দেখাচ্ছে।

হটাৎ একটা চামচিকা যেন চিঁ….চিঁ…. করতে করতে মাথার উপর দিয়ে পেরিয়ে গেলো। কিন্তু বরুণের প্রশ্নের কেউ কোনো জবাব দিলো না। বরুণ আবার সামনের বটতলায় থাকা সিমেন্টের তৈরি চেয়ারের দিকে এগিয়ে যায়।

“বাড়ির মালিক আর তার পরিবার বোধহয় শহরে চলে গেছে, তাই বাগান, বাড়ির এই অবস্থা। যাই হোক বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তো একটা খোলা আকাশ পাওয়া গেলো।”

চারিপাশে তাকিয়ে বসে পড়ল বটগাছের তলায়। রাত্রির গভীর নির্জনতা ধীরে ধীরে বাড়তেই বরুণের চোখে ঘুম নেমে আসে। হটাৎ একটা বিচ্ছিরি আওয়াজ কানে আসতেই বরুণের গায়ের রক্ত ছলকে উঠল, তাকিয়ে দেখে জলাশয়ের দিকে, দেখে ব্যাঙেরা কোলাহল করছে।

“জায়গাটা কেমন যেন… না থাক, প্রচণ্ড ঘুমও পাচ্ছে আজ রাত্রিটা এখানেই ঘুমিয়ে দি খোলা আকাশে। কাল সকালে দেখবো যদি গাড়ি ঠিক করতে কাউকে পাওয়া যায়। কিন্তু রাহুল আবার চিন্তিত হবে আজ না পৌছাতে পারলে, ওকে বরং একটা ফোন করে জানিয়ে দি।”

বরুণ যেই ফোনটা পকেট থেকে বের করতে যায় অমনি হাত থেকে পড়ে যায় সিমেন্ট এর চেয়ারে

“দূর…! কোনো কাজটা ঠিক মতো হয়না, এর র আবার কি হলো সাথে সাথেই বন্ধ”

রাহুলকে আর ফোন করা হয়ে উঠল না, মোবাইল টা হাতে ধরে আর পা ছড়িয়ে আকাশের দিকে মাথা করে চোখ বন্ধ করতে না করতেই নিদ্রা যেন তেড়ে আসছে। তবুও বরুণের মাথায় চারপাশের চিত্রটি গোলপ্যাচ খাচ্ছে। অবশেষে সে নিদ্রামগ্ন হয়ে নিশ্চিন্তের ঘুম দিতে থাকে।

ঝিঁ…ঝিঁ… ঝিঁ…ঝিঁ…নানা শব্দ হতে থাকে সামনের জলাশয়ে ব্যাঙেরা লাফালাফি শুরু করে দেয়, জল যেন উপচে পড়ছে, জলাশয়ের পাশে থাকা সাদা রঙের মূর্তিটি বারে বারে যেন মনে হচ্ছে সরে যাচ্ছে, জলাশয়ে জলের তাণ্ডব দেখে। কিছুটা দূরে সরে মূর্তিটা যেন মুচকি মুচকি হাসছে। অদ্ভুত অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা করে বেড়াচ্ছে। কখনো এই গাছ কখনো ওই গাছে চড়ছে। হটাৎ বটগাছের শিকড়গুলো যেন মাটি থেকে উপড়ে চলতে শুরু করেছে আর বারে বারে এদিকে এগিয়ে আসছে। শিকড়গুলো জড়িয়ে ধরে পেঁচিয়ে মাটির তলায় যেন পুঁতে দিবে।

এসব চলাকালীন বামদিক থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে কোনো এক পায়ের শব্দ। হঠাৎ তাকিয়ে দেখে কেউ কোথাও নেই শুধু দরজার আওয়াজ কানে ভেসে আসছে। বাইরের দরজাটা কখন যেন বাতাসের হেলে বন্ধ হয়ে গেছে তা ঠিক বোঝা যায়নি। সুর সুর বাতাস বইছে আর শরীর যেন ঠাণ্ডা হয়ে আসছে।

হটাৎ শিকড়গুলো কখন যে কাছে এসে সেই সিমেন্টের চেয়ারটাকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করছে আর সারা শরীর শিকড়ে পেঁচিয়ে নিয়েছে

“আমাকে বাঁচাও…..ছেড়ে দাও আমায়….”

ঘুমের ঘোরে বরুণ এই সব বলতে বলতে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম ভাঙ্গতেই চোখ খুলে দেখে মাথার থেকে কানের পাশ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরে চলছে, চারপাশে তাকিয়ে দেখে

“এ কি! এ কি করে সম্ভব! জলাশয়ে জল নেই একটু আগেই তো জল উপচে পড়ছিল, আর পাথরের মূর্তিটাও তো হাতে কলসি নিয়ে সেই জায়গাতেই আছে, শিকড়গুলো কই যেগুলো আমাকে জড়িয়ে ছিলো।”

সব কিছুই বরুণ ঘুমোনোর আগে যা দেখেছে সেই রকমেই রয়েছে। শুধু পাল্টেছে বরুণের শরীরের অবস্থা, হালকা হালকা বাতাস বইছে তবুও ঘাম ঝরেই চলছে। বরুণ চেয়ার থেকে উঠে আবার চারপাশটা ভালো করে দেখতে খাকে। সে ভেবে পাচ্ছে না যে এসব স্বপ্নে নাকি বাস্তবে ঘটছিল। বরুণ অস্থির হয়ে বটগাছের পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখে

“কে ওখানে…! কে দাঁড়িয়ে আছে, সামনে এসো”

কেউ এগিয়ে না আসায় বরুণ এগিয়ে না আসায় বরুণ এগিয়ে গেল

“কই..! এখানে তো কেউ কোথাও নেই, তাহলে কি আমার চোখের ভ্রান্তি নাকি স্বপ্নটাই সত্যি, আমার চোখ বন্ধ থাকাকালীন ওই সব অদ্ভুত ঘটনা গুলো ঘটেছে একথা কেন তবে বারবার মনে হচ্ছে।”

নানা প্রশ্ন বরুণের মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। সে কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না,

“এই বাগানে রহস্যের ভেদ আমি করেই ছাড়বো। যা যা একটু আগে ঘটলো তা স্বপ্ন নাকি বাস্তব তা খুঁজে বের করতেই হবে।”

ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় দু-টা, ধীরে ধীরে ভোরে হতে চলছে কিন্তু বরুণ বাগানের মধ্যে কোনো রহস্য খুঁজে পাচ্ছে না। অবশেষে কিছু না ভেবেই সর্দার বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। যেই কিছুটা এগিয়েছে চারপাশের পরিবেশটা বারে বারে পরিবর্তন হয়ে চলছে। বাতাসের বেগ বেড়েই চলেছে, শুকনো পাতা চারিদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে। শুকনো পাতার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

“এসব আবার কি হচ্ছে…! মেঘ করেছে নাকি, বৃষ্টি পড়বে মনে হয়।”

কিছু যখনি আকাশের দিকে তাকায়, সে অবাক হয়ে যায় কোথাও কোনো মেঘের চিহ্ন দেখতে পায় না আকাশ একেবারে পরিষ্কার, তারাদের স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বরুণ অবশেষে দাঁড়িয়ে পড়ে সর্দার বাড়ির দরজার কিছুটা আগেই।

“একি! আমি দাঁড়ানো মাত্রই বাতাসের বেগ কমে গেল, শুকনো পাতাও আর নড়াচড়া করছে না। এমন কি আছে এই বাড়িতে? যা আমায় দেখতে না দেওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

বরুণ অবাক হয়ে যায় কি সব হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না।

“বাবু মশাই… এই যে আপনি তাড়াতাড়ি বাইরে আসুন, আর দাঁড়াবেন না ওখানে।”

বাগানের প্রাচীরের ওপার থেকে কার একটা গলার আওয়াজ ভেসে আসছে বার বার।

“হ্যাঁ আসছি”

অমনি বরুণ দ্রুত গতিতে হেঁটে আসছে বাইরের দিকে, কোনো ভাবে ল্যাম্প পোষ্টের কাছের বড়ো দরজাটা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে। হাতে হ্যারিকেন নিয়ে আসা অচেনা ব্যক্তিটি বরুণের কাছে এসে তার হাত ধরে দৌড়াতে থাকে শিউলিতলা গ্রামের দিকে। অবশেষে বরুণের গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়।

“আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন নাকি; জীবনের ভয় নেই আপনার? মরার এতোই ইচ্ছে।”

ওই ব্যক্তিটি কি সব বলছে বরুণের মাথায় তার কিছুই ঢুকছে না। সে ভেবেই পাচ্ছে না কি এমন আছে এই বাগানে।

“এটা কার বাড়ি, কি এমন আছে এখানে?”

“আপনি জানেন না এটা কার বাড়ি?”

“না;”

সর্দার বাবুর বাড়ি কিন্তু উনি ২০ বছর আগে মারা গেছে। এখন ভূত বাস করে ওই বাড়িতে কেউ যায় না ওই বাগানের আশে পাশে।”

সেই ব্যক্তিটি বরুণকে তার বাড়ি নিয়ে যায়, জল খেতে দেয় আর বাকি ভোরটা তার বাড়িতেই থাকতে বলে।

“কিন্তু আমার ওখানে রাস্তায় গাড়ি টা পড়ে আছে, আসলে খারাপ হয়ে গেছে হটাৎ।”

“মশাই আপনি চিন্তা করবেন না, সকালে সব ব্যস্ততা করে দিবো এখন এখানেই থাকুন।”

“শুনুন না ওই বাড়ি আর বাগানের রহস্যটা আমার জানার খুব ইচ্ছে ছিলো, একবার সকালে সর্দার বাড়ি গেলে হয়।”

“মশাই সব কিছুর রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করবেন না এতে জীবনও যেতে পারে। যেখানে যাচ্ছিলেন, সকালে চলে যাবেন।”

এই বলে অচেনা ব্যক্তিটি বরুণের জন্য শোবার জায়গা করে দিয়ে নিজে শোবার ঘরে চলে যায়।

ভূতুড়ে বাগানের রহস্য বরুণের আর ভেদ করা হলো না ওই ব্যক্তির কথা শুনে। ভূতুড়ে বাগানের রহস্য ‘রহস্যময় ভূতুড়ে বাগান’ হয়েই থেকে যায়। লেখক পরিচয়― নাম সন্দীপ মণ্ডল, বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা, ছোট্ট বেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি অশেষ টান। ক্লাস নবম শ্রেণী থেকেই লেখালেখি শুরু। এখন কলেজে বাংলা নিয়ে পড়াশোনা এবং আমার একটি নিজস্ব পত্রিকা আছে ‘স্বপ্ন-তারা সাহিত্য পত্রিকা’ যেখানে অনেক কবি/লেখকের লেখা প্রিন্টেড আকারে বই প্রকাশ পায়।

About Post Author

9F10 AB

Click to rate this post!
[Total: 0 Average: 0]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post রহস্যটা রয়েই গেল | ভয়ের দেশ | অর্ণব রায়| Bengali Horror Story
Next post রাতবৈঠক | ভয়ের দেশ | সৌম্য শংকর বসু| Bengali Horror Story