মানুষখেকো পুকুর | পলক ফেলা নিষেধ | প্রিয়া ঘোষ | Bengali Thriller Story
0 (0)

সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে এসেছে। পুকুর পাড়টা খুব নির্জন আর অন্ধকার নেমে এসেছে সেখানে। পুকুরের পাশে বাঁশ বাগান। বাঁশ বাগান থেকে ভেসে আসছে শেয়ালের হাঁক। পুকুরে বাঁশঝাড় ও অন্যান্য গাছের কারণে সূর্যের আলো ঠিকমত পৌঁছায় না। তাই পুকুরের জল ঘন কালো প্রকৃতির। ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ শোনা যাচ্ছে। তাসনিম পুকুরের পাড় দিয়ে শিস বাজাতে বাজাতে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ দেখল তেঁতুল গাছের তলায় যেন কেউ বসে রয়েছে। তাসমিন লোকটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কে আপনি?” লোকটা মাথা তুলে তাসমিনের দিকে তাকিয়ে ভয়ংকরভাবে গর্জন করল। লোকটার দু চোখের কোনও দিয়ে রক্ত ঝরছে, চোখ দুটো অগ্নি লাল, হায়নার মত দাঁত। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ। সে রাতে তাসমিন বাড়ি ফিরল না। সারারাত ধরে ওর মা-বাবা ও গ্রামের মানুষ ওকে খুঁজলো। কিন্তু ওকে কোথাও খুঁজে পেল না, এমনকি পুকুরপাড়ে ও না। তাসমিন এর গায়েব হওয়ার তিন দিন বাদে, ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেল রফিক। মাছ ধরতে ধরতে প্রায় সন্ধ্যা নেমে এসেছে। হঠাৎ রফিক পুকুরের কোণে একটা বড় বোয়াল মাছ দেখতে পেল। টর্চ এর আলো জ্বেলে জলে নামলো রফিক। তখনই জলে ভেসে উঠল ভয়ঙ্কর এক মুখ। চিৎকার করে উঠল রফিক। কিন্তু মুখ থেকে যেন কোনও শব্দই বের হচ্ছে না। বেশিক্ষণ সময় লাগল না ওর জলে তলিয়ে যেতে। পরের দিন সকালে গ্রামের মানুষ পুকুর পাড়ে রফিকের টর্চলাইটটা খুঁজে পেল। তারপর থেকেই পুকুরটা নিয়ে গ্রামের মানুষের ভেতর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। গ্রামের মানুষ পুকুরটার নাম দিল ‘মানুষখেকো পুকুর’। তার কিছুদিন বাদেই শহর থেকে ফিরছিলেন ইন্দ্রবাবু। ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হয়ে  গেল। সেই পুকুর পাড় দিয়ে হেঁটে তিনি ফিরছিলেন। পূর্ণিমার রাত চারদিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তিনি দেখলেন তেঁতুল গাছের গোড়ায় একটা বাচ্চা খিলখিল করে হাসছে পুকুরের দিকে চেয়ে।  একটু কাছে আসতেই খেয়াল করলেন বাচ্চাটা আর অন্য কেউ নয় তার চার বছরের শিশু কন্যা নেহা। ইন্দ্রবাবু অবাক হয়ে বললেন, ” মামনি তুমি এত রাতে এখানে কি করছ?” নেহা তখন পুকুর পাড় দিয়ে হেঁটে হেঁটে পুকুরে নামল। ইন্দ্রবাবুও নেহার পিছু পিছু পুকুরে নামল। পুকুরে নেমে ইন্দ্রবাবু বুঝতে পারলেন কত বড় ভুল তিনি করেছেন। এটা আগে বোঝা উচিত ছিল তার মেয়ে এখানে এত রাতে আসবেই বা কেন? আর পুকুরেই বা নামবে কেন? কিন্তু এখন আর পুকুর থেকে উঠে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই তার। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল নেহা রুপি মেয়েটা । ইন্দ্রবাবু দেখলেন মুহূর্তেই নেহার শরীরটা ভয়ংকার পৈশাচিক চেহারাই রূপান্তিত হল। পরদিন সকালবেলা ইন্দ্রবাবুর লাশটা পুকুরের জলে ভাসমান অবস্থায় পেল গ্রামের মানুষ।  তাসমিন আর রফিকের মত তিনি গায়েব হননি।  চোখ দুটো উপড়ানো, দুই গালে মাংস নেই, সারা শরীরের দাঁত ও নখের চাপ। বীভৎস লাশটা দেখে গ্রামের মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে অদৃশ্য শক্তিটা কতটা ভয়ঙ্কর।

কিন্তু কেন করছে এসব? কী চাই ওর?

ইন্দ্রবাবুর লাশটা বাড়ির উঠোনে এনে রাখা হল।  কাকার মৃতদেহটা দেখে মন খারাপ করে দৌড়ে সেখান থেকে এসে কদমতলায় বসল অয়ন।  ইন্দ্রবাবু হলেন অয়নের একমাত্র কাকা।  ইন্দ্রবাবু অয়নকে খুব ভালোবাসতেন। মনে মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠল অয়নের গ্রামের সবচেয়ে বোকা ও ভীরু ছেলে হল অয়ন। এমনকি ওর বাবা মাও ওর প্রতি বিরক্ত। তবে ও আজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নিজের জীবন দিয়ে হলেও এর নিষ্পত্তি ও ঘটাবে। সন্ধ্যা নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে। ঘরে ঘরে সন্ধ্যা বাতি জ্বলছে। চারপাশ বেশ অন্ধকার, অয়ন হাঁটতে হাঁটতে পুকুর পাড়ে এসে থামল। চারদিকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছে না। চাঁদের অবয়বটা পুকুরের জলে ভাসছে। হঠাৎ অয়ন দেখল তেঁতুল গাছের গোড়ায় একটা গরু ঘাস খাচ্ছে। ও একটু অবাক হল এই সন্ধ্যাবেলায় কার গরুর এখানে ঘাস খাচ্ছে? অয়ন একটু কাছে আসতেই লক্ষ্য করল ওটা গরু নয় একটা কালোবিড়াল। যার চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে। অয়ন আরো বেশি অবাক হল এটা ভেবে গরুটা কী করে বিড়াল হয়ে গেল? বিড়ালটা ওর দিকে তাকিয়ে পুকুরের জলে লাফ দিল। কিছুক্ষণ পর বিড়ালটা অদৃশ্য হয়ে গেল। সাথে সাথেই অয়নের গলায় ঝোলানো তাবিজটায় আলো জ্বলে উঠল। অয়ন বুঝতে পারে এ যাত্রায় তাবিজের গুণেই বেঁচে গেল। ওর মনে পড়ে গেল তাবিজটা দেওয়ার সময় সাধু বাবা বলেছিলেন “এই তাবিজটা তোমাকে সব রকম অশুভ শক্তি থেকে বাঁচাবে।” রাতে শুয়ে শুয়ে অয়ন ভাবল কাল একবার সাধু বাবার কাছে যাবে। গভীর রাত চুপি চুপি একটা চোর রাকিব আলীর বাড়িতে সিঁদ কেটে ঢুকলো। রাকিব আলী টের পেয়, “চোর চোর!” বলে চ্যাঁচাতে লাগলেন। চোরটা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুকুরের দিকে দৌড়াতে লাগল।  রাকিব আলীও চোরের পিছু নিল, কিন্তু তিনি পুকুর পাড়ে গেলেন না। চোরটা পুকুরের জলে ঝাঁপ দিল, ভাবল সাঁতরে পুকুরটা পার হয়ে যাবে। কিন্তু যত সে সাঁতরে সামনে যাচ্ছে পুকুরটা যেন তত বড় হচ্ছে, কিছুতেই পার হতে পারছে না।  কিন্তু সে এটা বুঝতে পারিনি এই পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার থেকে রাকিব আলীর হাতে ধরা পড়াই ভালো ছিল।  তখনই জলে ভেসে উঠল মেয়ে রুপী সেই বীভৎস চেহারাটা। আকাশ বাতাস কেঁপে উঠল চোরের গগন কাঁপানো চিৎকারে। পরের দিন সকালে চোরের নিথর দেহটা পুকুরপাড়ে পাওয়া গেল। সারা শরীরে দাঁতের ছাপ। মৃতদেহটা দেখে বোঝায় যাচ্ছে কতটা নৃশংস ভাবে তাকে মেরেছে ওই অশুভ শক্তিটা। মৃত দেহটা দেখে অয়নএর খুব কষ্ট হল। সে ঠিক করল আজই সে সাধুবাবার কাছে যাবে।  এইভাবে চার- চারটি তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিল এই পুকুর।

সাধুবাবার কাছে গিয়ে অয়ন সবটা খুলে বলল। সব শুনে সাধুবাবা বললেন, “তুমি কাল অমাবস্যার রাতে আসবে, কিন্তু খেয়াল রেখো, কাল রাতের আগেই কেউ যেন পুকুর পাড়ে না যায়”। অয়ন বাড়ি চলে এল। সেদিন বিকেলে অয়নের সাথে দেখা হল ওর বন্ধু নন্দনের। ওকে দেখেই নন্দন বলল, “তোর কি ব্যাপার রে? আজকাল তো তোকে দেখাই যায় না।” অয়ন বলল, “আমি তো বাড়িতেই থাকি; তুই এখন কোথায় যাচ্ছিস? নন্দন বলল, “অর্কদের বাড়িতে যাচ্ছি”। অয়ন বলল,  “যেখানে যাস যা কিন্তু পুকুরপাড়ের দিকে যাবি না”। নন্দন বলল, “ধুর পাগল, পুকুরপাড়ের দিকে যাব কেন? এই আমার দেরি হচ্ছে  আসছি”। এই বলে দুজন দুজনার পথে এগোল। কিছুটা যেতেই  নন্দনের সাথে অর্কের দেখা। নন্দন বলল “এইতো অর্ক তোদের বাড়িতেই যাচ্ছিলাম”।  অর্ক কোনও উত্তর না দিয়ে নন্দনকে ওর পিছু নিতে বলল। নন্দন ওর পিছু পিছু পুকুর পাড়ে তেঁতুল গাছের গোড়ায় এসে থামল।  চারদিক ঘন অন্ধকার আর নির্জন নিস্তব্ধ। নন্দন যেন এতক্ষণ একটা ঘোরের মধ্যে ছিল, যে ঘোরটা তাকে টেনে নিয়ে এসেছে এই পুকুর পাড়ে। হঠাৎ সম্বিত ফিরতেই দেখল পুকুর থেকে উঠে আসছে সেই মেয়ে রুপী বীভৎস পৈশাচিক চেহারাটা। নন্দন ভয়ে চিৎকার করতে গেল, কিন্তু ও বুঝতে পারল ওর গলা থেকে কোনও শব্দ বের হচ্ছে না এমনকি নিজের জায়গা থেকেও এক পা নড়তেও পারছে না। পাশে তাকিয়ে দেখল অর্ক উধাও হয়ে গেছে। ততক্ষণে বীভৎস চেহারাটা ওর কাছাকাছি চলে এসেছে। তখনই হঠাৎ মাঝখানে এসে দাঁড়াল অয়ন। ওটা এক নজর অয়ন এর দিকে তাকিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। অয়ন তখন নন্দনকে ধমক দিয়ে বলল, “কি রে নন্দন তোকে বারণ করা সত্ত্বেও পুকুর পাড়ে কেন এসেছিস?” নন্দন বলল, “জানি না বন্ধু কিভাবে আমি এখানে চলে এলাম! অর্কই তো আমাকে এখানে আনল, কিন্তু ও যে কোথায় উধাও হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।” অয়ন বলল,”ওটা অর্ক নয় আর তোকে কিছু বুঝতে হবে না তুই শীঘ্রই এখান থেকে চল এখানে বিপদ আছে”। নন্দন বলল, “ধন্যবাদ বন্ধু তোর জন্য আজ আমি বেঁচে গেলাম, তোকে আগে কত বোকা ভীরু ভাবতাম কিন্তু তুই খুব সাহসী”। এই বলে নন্দন অয়নের পিঠ চাপড়ে দিল। পরদিন যথারীতি অয়ন অমাবস্যার রাতে সাধুবাবার কাছে গেল। সাধু বাবা ওকে একটা তাবিজ দিয়ে বলল, “তোমাদের গ্রামের উপর অশুভ শক্তির নজর পড়েছে, তোমাকে আজ পুকুরের অপর পাশে জঙ্গল ছাড়িয়ে যে কবরস্থানটা আছে সেখানে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে কোনও একটা কবর থেকে কাফনের কাপড় ছিঁড়ে এনে তাবিজটাই জড়িয়ে পুকুরের জলে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তবে এতে অনেক বিপদ আছে। তুমি যাওয়ার পথে যা কিছু হয়ে যাক কিন্তু একবারও পিছন ফিরে তাকাবে না আর তাবিজটা জলে ফেলার আগে পর্যন্ত একটাও কথা বলবে না। কি পারবে তো?” অয়ন বলল, “আমার জীবন দিয়ে হলেও পারতেই হবে আমার গ্রামবাসীর জন্য”। গভীর রাত চারিদিক পিনপতন নীরবতা। তাবিজটা নিয়ে অয়ন পুকুর পাড় দিয়ে জঙ্গলের দিকে যাওয়ার জন্য হাটতে লাগল। ঝড় তুফান  কিছু নেই অথচ অয়ন-এর মনে হল ওর পেছনে শো শো করে বাতাস বইছে। বাতাসে পিছনের সব কিছু যেন ভেঙে চুরে যাচ্ছে। অয়ন কোনও দিকে না তাকিয়ে সোজা হাঁটছে। পিছন থেকে ফিস করে একটা কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে “অয়ন যেও না, ফিরে এসো, পিছনে ফের।” অয়ন সে কথায় কান না দিয়ে জঙ্গল পেরিয়ে কবরস্থানে ঢুকল। কবরস্থানে নতুন কবর খুঁজছিল ও,পেয়েও গেল। কবরটা খুঁড়ে লাসের মাথার দিক থেকে একটু কাফনের কাপড় কেটে নিল। ওর মনে হল কবরের অন্যান্য লাশগুলো যেন ওর দিকে চেয়ে রয়েছে। আবার আগের মত মাটি দিয়ে কবরটাকে ভরে দিল। হাপিয়ে গেল অয়ন। একটু জিরিয়ে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। হাঁটতে হাঁটতে তাবিজটাতে কাফনের কাপড়টা জড়িয়ে নিল। জঙ্গলের অর্ধেক এসে ও দেখল একটা আমগাছে ওর মৃতদেহ ঝুলছে। চোখ দুটো ঘোলা জিহ্বাটা বেরোনো। থমকে দাঁড়াল অয়ন, পিছনে মনে হচ্ছে হাজার হাজার লাশ ওর দিকে ধেয়ে আসছে। ওর পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে দিয়েছে কিছুতেই সামনে এগোতে পারছে না খুব কষ্ট হচ্ছেওর তবুও কষ্ট করে এগিয়ে চলল আবার সামনে যেতেই বাবলা গাছে ঝুলছে অয়ন এর মায়ের লাশ। বারবার পিছনে তাকাতেই খুব ইচ্ছে হচ্ছে অয়নের,তবে ও জানে এগুলো সব ঐ বীভৎস চেহারাটার ভেলকি। ভয়ে ওর বুক কাঁপছে, পা আর চলছে না শরীরটা ক্লান্ত লাগছে। তবুও সমস্ত সাহস সঞ্চয় করে একটু একটু করে পুকুরপাড়ে পৌঁছালো। তখনো বাতাসে ভেসে আসছে এক অজানা কণ্ঠস্বর, “অয়ন অয়ন!” অয়ন সেগুলোকে পাত্তা না দিয়েই তাবিজটা পুকুরের জলে ছুড়ে ফেলল। সাথে সাথেই পুকুরের জল ফোয়ারার ন্যায় চারদিকে ছড়িয়ে গেল। ভেসে উঠল শেষবারের মত সেই বীভৎস চেহারাটা। আলোয় আলোকিত হয়ে উঠল পুকুর, সাথে শোনা গেল সেই চেনা কণ্ঠস্বর “ছাড়ব না আমি কাউকে, আমি আবার ফিরব।” আলোটা সাথে সাথে নিভে গেল, আস্তে আস্তে বীভৎস চেহারাটা মিলিয়ে গেল পুকুরের জলে। অয়ন দপ করে মাটিতে বসে । পড়লো। ততক্ষনে নন্দন গ্রামের লোকদের নিয়ে পুকুর পাড়ে চলে এসেছে সাথে অয়ন এর মা বাবাও আছে। নন্দন এসেই অয়নকে জড়িয়ে ধরল। বলল “বন্ধু আমি তোর পিছু পিছু সাধু বাবার কাছে গিয়েছিলাম আমি সবটা শুনেছি, আর গ্রামের লোকেদের ও জানিয়েছি এবার বাকিটা তুই বল”। অয়ন তখন সবকিছু খুলে বলল। সবকিছু শুনে গ্রামবাসীরা খুব খুশি হল এমনকি অয়ন এর মা বাবাও এসে তাকে জড়িয়ে ধরল। প্রশংসা করল তার সাহসের সবাই। অয়নকে এবার থেকে গ্রামের সবচেয়ে ভালো আর সাহসী ছেলে হিসেবে অভিহিত করা হল।

About Post Author

9F10 AB

Click to rate this post!
[Total: 0 Average: 0]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post পাশবালিশ | পলক ফেলা নিষেধ | হীরক সানা | Bengali Thriller Story
Next post ছবি | পলক ফেলা নিষেধ | কল্পেশ মান্না | Bengali Thriller Story